মালদা

ধর্ষনের পরে মেলেনি পুলিশি সাহায্য, অপমানে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল এক নবম শ্রেনীর ছাত্রী

ধর্ষনের পরও পুলিশি সাহায্য না পেয়ে অপমানে আত্মঘাতী হলেন এক নবম শ্রেনীর ছাত্রী। যদিও পরিবারের অভিযোগ ধর্ষকই খুন করেছে ছাত্রীটিকে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার মোথাবাড়ি থানা অন্তর্গত বাবলা এলাকায়। এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার তদন্ত নেমেছে পুলিশ। এখনও অভিযুক্তরা অধরা। এই ঘটনার ঘিরে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও পুলিশ কর্তারা এই বিষয়ে মুখে কুলুপ দিয়েছেন।

 

            স্থানীয় বালুয়াচোরা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীতে পড়াশোনা করত ছাত্রীটি। এ মাসের ২২ তারিখ সন্ধ্যায় নিখোঁজ হয়ে যায় ছাত্রীটি। গভীর রাতে গ্রামের এক পরিত্যক্ত জমিতে হাত পা বাধা অবস্থায় অচৈতন্য ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা। ছাত্রীটির গলায় ফাঁসও লাগানো ছিল। অচৈতন্য ছাত্রীটিকে স্থানীয় বাসিন্দারা স্থানীয় বাঙ্গীঁটোলা গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জ্ঞান ফেরার পর তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতনের কথা জানান ছাত্রীটি। রেজাউল শেখ নামে গ্রামেরই এক যুবক তাঁর উপর অত্যাচার করেছে বলে জানা যায়। মোথাবাড়ি থানাতে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয় ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে। এরপর থেকে ছাত্রীর পরিবারের উপর হুমকি আসতে থাকে ধর্ষকের পরিবারের পক্ষ থেকে বলে অভিযোগ। বারংবার এই হুমকির খবর মোথাবাড়ি থানার পুলিশ কর্তাদের জানানো স্বত্তেও পুলিশ কর্তা কর্ণপাত করেন নি বলে অভিযোগ। এমনকি অভিযুক্ত রেজাউল শেখের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় নি। আজ ছাত্রীটির পরিবার তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে ছাত্রীটির ঘর থেকে।এরপরেই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। অনুমান পুলিশের সাহায্য না পেয়ে অপমানে আত্মঘাতী হয়েছেন ছাত্রীটি।

           

            তবে পরিবারের অভিযোগ অভিযুক্ত রেজাউল শেখ ও তাঁর দলবল ছাত্রীর ঘরের ঢুকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে। এই বিষয়ে জেলার পুলিশ কর্তাদের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।খুন না আত্মহত্যা তা নিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।